নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
আসন্ন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হচ্ছেন চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি কক্সবাজার জেলা ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ও বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী। তিনি গতকাল সোমবার (৭ জানুয়ারী) সকালে ঢাকা থেকে এলাকায় ফেরার পর নির্বাচনী প্রচারনার অংশ হিসেবে চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়ন, ডুলাহাজারা ইউনিয়ন ও মালুমঘাটায় আওয়ামীলীগ এবং সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী এদিন চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়ন, ডুলাহাজারা ইউনিয়ন ও মালুমঘাটায় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। ওইসময় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ডা.মীর আহমদ হেলালী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য খুটাখালীর সাবেক মেম্বার আলহাজ জয়নাল আবেদিন, কৈয়ারবিল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি জাফর আলম সিকদার, খুটাখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম বেলাল আজাদ, চকরিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শওকত হোসেন, ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আলহাজ মো.শওকত আলী, সাবেক মেম্বার সাইফুল ইসলাম, চকরিয়া পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল উদ্দিন, খুটাখালী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মোহাম্মদ রফিক প্রমুখ। অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় খুটাখালী ইউনিয়ন, ডুলাহাজারা ইউনিয়ন ও মালুমঘাটায় আওয়ামীলীগ এবং সহযোগি সংগঠনের সকলস্তরের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী বলেন, আওয়ামীলীগের দু:সময়ে আমি দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজপথে ছিলাম। অতীতে পৌরসভার ছোট্ট একটি দায়িত্বে থেকে জনগনের জন্য কাজ করেছি। এখনো আমরা দরজা জনগনের জন্য খোলা। দলের নেতাকর্মীদের বিপদে আপদে যেমন ছুঁেট গিয়েছি, তেমনি জনগনের দু:খ লাগবে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। চকরিয়া-পেকুয়ার আসনের নবনির্বাচিত এমপি আলহাজ জাফর আলমের নেতৃত্বে দলের দু:সময়ে রাজপথের সকল আন্দোলন সংগ্রামে নেতাকর্মীদের পাশে ছিলাম। ঘরে বসে থেকে নয়, বিএনপি জামায়াতের অপরাজনীতির জবাব রাজপথে সামনে থেকে নেতাকর্মীদের সঙ্গে দিয়েছি। আগামীতেও আমি দলের জন্য, জনগনের জন্য কাজ করে যাব।
তিনি বলেন, ২০১৬ সালে চকরিয়া পৌরসভার নিবাচনে মেয়র পদে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম। তৃনমুলের জনপ্রিয়তা যাছাই-বাছাই করে জেলা আওয়ামীলীগ মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় আমার নামও প্রেরণ করেন কেন্দ্রে। কিন্তু ওইসময় দলের সিনিয়ন নেতাদের অনুরোধে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁিড়য়েছি। দলের প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিতে নিজের অর্জন বিসর্জন দিয়েছি। চকরিয়া উপজেলার আওয়ামীলীগ পরিবারের নেতাকর্মীরা যানে সাঈদীর অবদান রাজনীতিতে কতটুকু।
ফজলুল করিম সাঈদী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশ ধারণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল থেকে আজীবন আওয়ামীলীগের জন্য কাজ করতে চাই, বড় পরিসরে জনগনের জন্য কাজ করতে চাই। অনেকে দলের নানাবিধ সুবিধা পেলেও আমি বারবার সিনিয়র নেতাদের অনুরোধে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি। আমি এবার আপনাদের (চকরিয়া উপজেলার আওয়ামীলীগের সকলস্তরের নেতাকর্মীদের) সহযোগিতা চাই, আমাকে এবারও হলেও পরিসরে জনগনের সেবা করার সুযোগ দিন, আওয়ামীলীগের জন্য কাজ করার সুযোগ দিন। চকরিয়া-পেকুয়ার গনমানুষের নেতা আলহাজ জাফর আলম এমপির নেতৃত্বে চকরিয়া উপজেলাকে উন্নয়নে ঢেলে সাজাতে চাই। সেইজন্য সর্বসাধারণ ও দলের সকলস্তরের নেতাকর্মীর সহযোগিতা চাই। আপনাদের সহযোগিতা ও দোয়া থাকলে ইনশাল্লাহ সফল হবো।
পাঠকের মতামত: